Description
সপ্তডিঙ্গা সুপার ফুড
রোস্টেড এবং স্বাস্থ্যকর সুপার ফুডটি আপনাকে দিবে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা!
চলুন জেনে নেই কি কি থাকছে এই সুপার ফুডেঃ
১.চিয়া সিড ২.ফ্লেক্স সিড ৩.মিষ্টি কুমড়ার বীজ ৪.সূর্যমুখীর বীজ ৫.সাদাতিল ৬.কালো জিরা ৭.কালো কিসমিস
১. চিয়া সিডঃ
সুপার ফুড এর তালিকায় প্রথমেই রয়েছে চিয়া সিড।
চিয়া সিডে পুষ্টি উপাদান সমূহ: ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, Omega-3, ফ্যাটি এসিড, Vitamin C, উচ্চমাত্রার ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে।
➡️চিয়াসিড এর স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী। প্রতি ২৮ গ্রাম চিয়া সিডে ১০ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যচাহিদার প্রায় ৩৫%। চিয়া সিডে বিদ্যমান ফাইবার বা খাদ্যআঁশ মূলত দ্রবণীয়, যা আপনার হজম প্রক্রিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ২. টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ৩. কোলেস্টেরল কমায়। ৪. হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখে ৫. দুশ্চিন্তা ও হতাশা কমায়। ৬. অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ এর প্রবনতা কমায়।
২. তিসি বা ফ্লেক্সসিডঃ
এর আঞ্চলিক নাম ভিন্ন হয়ে থাকে, কোথাও একে শণ বা মইস্নে বলে। এটা মূলত লিনাম ইউসিটাটিসিমাম-জাতীয় একটি খাবার এবং আঁশযুক্ত ফসল।
➡️তিসি বীজের পুষ্টি উপাদান সমূহ: আলফা-লিনোলিক অ্যাসিডসহ তিসি ডায়েটারি ফাইবার এবং Omega-3, সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এছাড়াও এতে B1-B6, B9, B12, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফাইবার, শর্করা রয়েছে।
➡️তিসির স্বাস্থ্য উপকারীতা-কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টেরল, স্থূলতায় তিসি উপকারী। তিসির বীজে লিগনান নামক ফাইটোয়েস্ট্রোজেনও থাকে, যা ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো। তিসির ফাইবার বীজের আবরণে পাওয়া যায়।
৩. মিষ্টি কুমড়ার বীজঃ
খুব উপকারী সবজি হিসেবে গৃহীত হলেও অনেকেই জানেন না মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন এক মুঠ বা ১৫-২০ পিছ মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া উপকারী।
➡️মিষ্টি কুমড়ার বীজের পুষ্টি উপাদান সমূহ:
এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক, ফাইবার, Vitamin E,আয়রন, এন্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর।
➡️মিষ্টি কুমড়ার বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. এটিতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ২. ভালো ঘুম: কুমড়োর বীজের ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। ৩. হার্ট ভালো রাখে: এই বীজের ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
৪. সূর্যমুখী বীজঃ
সূর্যমুখীর বীজ একটি উৎকৃষ্ট মানের হার্ট হেলদি কনটেইন করে।
➡️সূর্যমুখী বীজের পুষ্টি উপাদান: এটি ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, Vitamin B-6, Vitamin D, ডায়টারি ফাইবার, শর্করা, লিপিড এর ভালো উৎস।
➡️সূর্যমুখী বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান: সূর্যমুখীর বিচিতে রয়েছে উন্নতমানের Vitamin E যা এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ও শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালাপোড়া কমায়। ২. ক্যান্সার প্রতিরোধক এই বীজে আছে উচ্চমানের ফাইটোস্টেরল ও লিগন্যানস যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। ৩. চুল পড়া রোধ করে। ৪. ত্বকের দাগ দূর করে। তবে এটির ১ কাপ পরিমান থেকে ১৪ গ্রাম এর মত ফ্যাট পাওয়া যায় তাই গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরী।
৫. সাদা তিলঃ
সাদা তিলে একাধিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।
সাদা তিলের পুষ্টি উপাদান:
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, Vitamin D, আয়রন, Vitamin B-6, Vitamin B-12, লিপিড, শর্করা, প্রোটিন এর ভালো উৎস। তবে এটি কোলেস্টেরল ফ্রি। তাই প্রতিদিনের খাবারে এই উপকরণটি ব্যবহার করলে শরীরের নানা ধরনের উপকার হবে।
➡️সাদা তিলের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ২. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকরী এই তিল। ৩. সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা হাড় মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা কমায়। ৪. সাদা তিলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬. কালোজিরাঃ
কালোজিরা বৈজ্ঞানিক নাম নাইজেলা স্টিভিয়া।
➡️ কালোজিরা বীজের পুষ্টি উপাদান :
কালোজিরা তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। কালোজিরা অন্যতম উপাদানের মধ্যেআছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। এতে আরো আছে আমিষ, শর্করা ও প্রয়োজনীয়ফ্যাটি এসিডসহ নানা উপাদান। পাশাপাশি কালোজিরায় আছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, Vitamin A, Vitamin B, Vitamin B2, নিয়াসিন ও Vitamin C।
➡️কালোজিরা বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। প্রত্যেকের রান্নাঘরেই কালোজিরা থাকে যা খাবারকে সুবাসিত করে। আসুন আমরা আজ আশ্চর্য বীজ কালোজিরার উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
১. স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। ২. বাতের ব্যথা দূর করে। ৩. চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। ৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৭. কালো কিশমিশঃ
কালো কিশমিশ কালো আঙুর থেকে তৈরি হয় ৷
➡️কালো কিশমিশ এর পুষ্টি উপাদান সমূহ:
এতে ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম এবং পলিফেনল থাকে। এটি আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজেরও অন্যতম উৎস।
➡️কালো কিশমিশ এর স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: বিশেষজ্ঞদের মতে কালো কিশমিশে পাওয়া পলিফেনল, ফাইবার এবং পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ২. ডায়টারি ফাইবার এর ভালো উৎস। হজমে উপকারী। ৩. প্রচুর পরিমাণে শক্তি সরবরাহ করে। তাই অল্প পরিমান খেলেও দীর্ঘসময় এনার্জি পাওয়া যায়। ৪. কালো কিশমিশ কালো আঙুর থেকে তৈরি হয় ৷
সপ্তডিঙ্গা সুপার ফুড এর ব্যাবহারিক সুবিধা কি?
১. ট্রাভেল করার সময় আপনি এটা সঙ্গে নিতে পারেন। এবং সহজে বাইরের আনহেলদী স্ন্যাক্স এড়িয়ে চলতে পারবেন।
➡️কিভাবে খাবেন?
১. প্রতিদিন এর হেলদি সালাদ কে আরো হেলদি বানাতে সালাদ এর সাথে স্প্রিংক্যাল করে নিতে পারেন এই ক্রিস্পি সুপার সিড।
২. মধ্যসকাল বা বিকালের নাস্তায় টক দই অথবা ফলের সাথে খেতে পারেন এই হেলদি সুপার সিড।
৩. রুটি, হোমমেড কুকিস বানানোর সময় আটার অথবা ময়দার ডোতে ও ব্যাবহার করতে পারেন এটি, এতে টেস্ট বাড়বে বহুগুন সাথে পুষ্টি ও।
বি:দ্র: সারাদিনে তিন চা চামচ অথবা ১৫ থেকে ২০ গ্রামের বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই।